Promoting Peace and Progress
Saturday, 15th of February 2025
![]() সংবাদ সম্মেলনে মূল বক্তব্য তুলে ধরেন এনসিসি'বির সমন্বয়ক মিজানুর রহমান বিজয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পিআরডিআইর শামসুজ্জোহা এবং সিডিপির জাহাঙ্গীর হাসান মাসুম। মূল প্রবন্ধে মিজানুর রহমান বলেন, বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে গৃহীত 'লিমা কল ফর ক্লাইমেট অ্যাকশন' বিপন্ন দেশগুলোর অধিকারের স্বীকৃতি দিতে ব্যর্থ হয়েছে। লিমায় অনুষ্ঠিত কপ-২০-এর শেষ মুহূর্তে গ্রিনহাউস গ্যাস নির্গমনে ঐতিহাসিকভাবে সর্বাধিক দায়ী মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, বর্তমানে সর্বাধিক নির্গমনকারী চীন, তৃতীয় সর্বোচ্চ নির্গমনকারী ভারত এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে আপস রফায় পেঁৗছতে পেরে সন্তোষ প্রকাশ করেছে, তা কেবল দূষণকারীদের উল্লাস মাত্র। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ওই আলোচনায় বিপন্ন দেশগুলোর জন্য প্রয়োজনীয় অভিযোজন অর্থায়ন, কারিগরি সহায়তা এবং অতি জরুরি জলবায়ু দুর্যোগের ক্ষতিপূরণের বিষয়গুলোতে অগ্রগতি ঘটেনি। এছাড়া অভিযোজন অর্থায়নে কোনো সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ ও বাধ্যবাধকতা প্রণয়ন করা হয়নি। ফলে দরিদ্র দেশগুলোর অভিযোজন অর্থায়ন এখন সম্পূর্ণরূপে ধনী দেশগুলোর খেয়াল-খুশির ওপর নির্ভর করবে। তিনি বলেন, গ্রিন ক্লাইমেট ফান্ডে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ বিলিয়ন ডলারের সম পরিমাণ অর্থের প্রতিশ্রুতি পাওয়া গেলেও ২০২০ সাল থেকে প্রতি বছর ১০০ বিলিয়ন ডলার করে প্রতিশ্রুত সহায়তা প্রাপ্তির কোনো সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ পাওয়া যায়নি। তিনি আরো বলেন, বর্তমান গতিতে তাপমাত্রা বৃদ্ধি পেতে থাকলে বিশ্বের তাপমাত্রা এই শতাব্দীর মধ্যেই ৩.৫ বা ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে, যা দরিদ্র দেশগুলোর বিপন্নতা এবং জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে ক্ষয়-ক্ষতিকে সর্বোচ্চে নিয়ে যাবে। এনসিসিবির সমন্বয়ক ১০ দফা দাবি তুলে ধরে বলেন, উন্নত দেশগুলো বৈশ্বিক তাপমাত্রা ২ ডিগ্রি সেন্টিগ্রেডে স্থির রাখতে কার্যকর পদক্ষেপ নেবে। এছাড়া ২০২০ সাল থেকে কার্যকর চুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হিসেবে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়-ক্ষতির বিষয়টিকে মূল চুক্তির আইনি বাধ্যবাধকতামূলক অংশের অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। |
Since: 01 April, 2013